শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
এক দফা দাবিতে নার্সদের পতাকা মিছিল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা বাড়ছে পদ্মার পানি, বন্যার আতঙ্ক রাজশাহীতে টেক্সটাইল করপোরেশন পরিদর্শন করলেন বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বিশ্বব্যাংক : পরিবেশ উপদেষ্টা “যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ঝটিকা সফর” স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের

টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি, দু-একটি বাস চললেও যাত্রী মিলছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলো দ্বিতীয় দফায় অবরোধের ডাক দিয়েছে। আজ রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এতে অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে। তবে দু-একটি বাস চললেও যাত্রী মিলছে না।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে সায়েদাবাদ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, সকাল থেকে হাতেগোনা দু-একটি বাস ছেড়েছে। তবে যাত্রীর জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

সায়েদাবাদে শ্যামলী পরিবহনের ৬ নম্বর কাউন্টারের ম্যানেজার মো. নাসির জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের বরিশাল, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফসহ বিভিন্ন রুটে গাড়ি রয়েছে। তবে আজ সকালে কোনো গাড়ি ছাড়া হয়নি। বিকেলের আগে কোনো গাড়ি ছাড়া হবে না। যাত্রীও তো নেই। অন্যসময় সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় থাকে, এখন তো সেটাও নেই। কিছু লোকাল বাস চলছে। বড় কোনো কোম্পানির বাস সেভাবে চলছে না।

শান্তি পরিবহনের ম্যানেজার মো. স্যামসং বলেন, সকাল থেকে কোনো গাড়ি ছাড়িনি। ওপরের নির্দেশনা পেলে গাড়ি ছাড়ব। কিছু যাত্রী গাড়ি না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে।

সিডিএম পরিবহনের স্টাফ আলামিন বলেন, সকাল থেকে পরিস্থিতি খারাপ। রাস্তায় যাত্রী নাই। সকাল ১০টা বাজলেও পাঁচজন যাত্রী নেই। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাই। এ অল্প যাত্রী নিয়ে গাড়ি ছাড়লে খরচও উঠবে না। ঢাকা-চট্টগ্রামে ভাড়া ৬৮০ টাকা হলেও আমরা ৫০০ টাকা ভাড়া রাখছি তাও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।

সায়েদাবাদে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. ফারুক বলেন, সিডিএম গাড়ির টিকিট কেটেছি সকালে। সেই সকাল ৬টা থেকেই অপেক্ষা করছি। কিন্তু যাত্রী না থাকায় বাসটি ছাড়তে পারছি না। আমার চট্টগ্রামে যেতে হবে। অনেক ঝুঁকি জানি, তবুও প্রয়োজনের কারণে যেতে হচ্ছে।

সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, আমরা যাত্রী হলেই বাস ছাড়ছি। সকালে কিছু যাত্রী ছিল তাই কয়েকটি বাস ছেড়ে গেছে। আমরা যাত্রী পেলে বাস ছাড়ব। তবে অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। গতকাল একজন মালিকের আর্তনাদ আমরা দেখেছি। তার একটাই গাড়ি সেটাও জ্বালিয়ে দিয়েছে। রাত থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তো কোনো হরতাল বা অবরোধ ছিল না তারপরও গতকাল থেকে তারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, এটা কতটা যৌক্তিক।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2017 ithostseba.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com